আজকের ব্যস্ত জীবনে আমাদের বাড়ি হওয়া উচিত শান্তি আর স্বস্তির জায়গা। একটি “জেন” পরিবেশ মানে হলো সরলতা, ভারসাম্য এবং মানসিক শান্তি। একটু যত্ন নিলেই আপনি আপনার ঘরকে শান্ত, সুন্দর এবং ইতিবাচক জায়গায় পরিণত করতে পারবেন।
এখানে রয়েছে আপনার বাড়িকে আরও জেন অনুভূতি দেওয়ার ১০টি সহজ উপায়:
১. অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরান
প্রথম ধাপ হলো ঘর গোছানো। যেসব জিনিস আপনার কাজে লাগে না সেগুলো সরিয়ে ফেলুন। ফাঁকা ও পরিষ্কার ঘর মনকেও হালকা করে তোলে।
২. হালকা ও নিরপেক্ষ রং ব্যবহার করুন
সাদা, হালকা ধূসর, বেইজ বা প্যাস্টেল রং ঘরে শান্তি আনে এবং জায়গাকে বড় দেখায়। অতিরিক্ত ঝলমলে রং এড়িয়ে চলুন।
৩. প্রাকৃতিক আলো আসতে দিন
জানালা খুলে সূর্যের আলো ঢুকতে দিন। এটি শুধু বিদ্যুৎ বাঁচায় না, ঘরে ইতিবাচক শক্তিও নিয়ে আসে।
৪. ঘরে সবুজ গাছ রাখুন
মানি প্ল্যান্ট, বাঁশ বা পিস লিলির মতো গাছ ঘরে রাখুন। এগুলো বাতাস পরিষ্কার করে এবং সতেজতা আনে।
৫. মিনিমাল ফার্নিচার ব্যবহার করুন
জেন সাজসজ্জা মানে কম জিনিস, বেশি স্বস্তি। অতিরিক্ত ভরাট আসবাব এড়িয়ে চলুন। কাঠের টেবিল, হালকা সোফা বা ছোট শেলফ ভালো মানাবে।
৬. নিজের জন্য একটি শান্ত কোণা তৈরি করুন
একটি ছোট জায়গায় মাদুর, কুশন বা একটি আরামদায়ক চেয়ার রাখুন যেখানে বসে বই পড়তে, ধ্যান করতে বা শুধু আরাম করতে পারবেন।
৭. সুগন্ধ যোগ করুন
ল্যাভেন্ডার, চন্দন বা জুঁইয়ের ধূপকাঠি, এসেনশিয়াল অয়েল বা মোমবাতি ব্যবহার করুন। এতে ঘরে প্রশান্তির অনুভূতি আসবে।
৮. ইলেকট্রনিক্স কম ব্যবহার করুন
বেশি মোবাইল, টিভি বা ল্যাপটপ শান্ত পরিবেশ নষ্ট করে। বিশ্রামের জায়গায় এগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
৯. প্রাকৃতিক উপকরণ বেছে নিন
কাঠ, বাঁশ, কটন বা জুটের জিনিস ব্যবহার করুন। যেমন– কটন পর্দা, বাঁশের মাদুর বা কাঠের সাজসজ্জা। এগুলো ঘরে প্রকৃতির ছোঁয়া আনে।
১০. নরম সংগীত চালান
পাখির ডাক, জলের শব্দ বা হালকা বাদ্যযন্ত্রের সংগীত বাজান। এগুলো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
জেন পরিবেশ মানে দামি সাজসজ্জা নয়, বরং সরলতা, স্বস্তি ও ইতিবাচক শক্তি। ছোট ছোট পরিবর্তন দিয়ে শুরু করুন, যেমন গাছ রাখা বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরানো। কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার বাড়ি হবে আরও শান্ত ও আনন্দময়।
